তাইওয়ানকে নিয়ে এক মন্তব্যের জেরে চীন তার নাগরিকদের জাপানে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে। গত ৭ নভেম্বর জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি পার্লামেন্টে বলেন, তাইওয়ানে যদি শক্তি প্রয়োগ বা সশস্ত্র হামলা হয় তাহলে জাপান সামরিক হস্তক্ষেপ করতে পারে। তার এই মন্তব্যকে উসকানিমূলক বলে অভিযোগ করেছে চীন।শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বেইজিং জানায়, তারা জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। পাল্টা টোকিওও চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।টোকিও বলছে, তাইওয়ান নিয়ে তাদের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হয়নি। জাপানের একটি দ্বীপ থেকে তাইওয়ানের দূরত্ব মাত্র ১০০ কিলোমিটার।শুক্রবার রাতে জাপানে অবস্থিত চীনা দূতাবাস তাদের উইচ্যাট পোস্টে চীনা নাগরিকদের সতর্ক করে বলে, তাইওয়ান বিষয়ে জাপানি নেতাদের প্রকাশ্য উসকানিমূলক মন্তব্য দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।এতে আরও বলা হয়, পরিস্থিতি এখন চীনা নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করেছে। তাই নিকট ভবিষ্যতে জাপান ভ্রমণ এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
চীন দাবি করে তাইওয়ান তাদেরই অংশ এবং প্রয়োজনে বলপ্রয়োগে দ্বীপটিকে দখল করা থেকে তারা পিছু হটবে না। যদিও জাপান ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত তাইওয়ান শাসন করেছে।চীন ও জাপান গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হলেও ঐতিহাসিক বিরোধ, সামরিক উত্তেজনা এবং আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা তাদের সম্পর্ককে প্রায়ই টানাপড়েনে ফেলে।চীনবিরোধী মনোভাবের জন্য পরিচিত তাকাইচি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কিছুটা নরম সুরে কথা বললেও দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দুই দেশের সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।৭ নভেম্বর সংসদে তিনি বলেন, তাইওয়ানে সশস্ত্র হামলা হলে সমষ্টিগত আত্মরক্ষা অধিকার প্রয়োগ করে জাপান সেখানে সেনা পাঠাতে পারে। ২০১৫ সালের নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী, জাপানের অস্তিত্ব ঝুঁকিতে পড়লে এমন পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
